আমরা জানি ইন্টারনেটে phishing নামের একটা হ্যাকিং পদ্ধতি আছে যা ব্যবহার করে হ্যাকাররা অন্যের ইমেইল পাসওয়ার্ড, সোশ্যাল মিডিয়া পাসওয়ার্ড জেনে যেতে পারে। এই পদ্ধতি কিভাবে কাজ করে? এর থেকে বাঁচার উপায় কী?
1 Answer
Trivuz
2021-07-03 14:07:15
ফিশিং করা হয় মূলত একই রকমের একটা নকল সাইট করে। যেমন, দেখতে হুবহু ফেসবুকের মত একটা সাইট তৈরি করলো একজন। পুরো ফেসবুক বানাতে হয় না এক্ষেত্রে, শুধু লগইন করার স্ক্রিনটা বানালেই হয়। ফলে, যেকেউ এটা করতে পারে। তারপর সেই ফেইক ফেসবুক লগইন পেজের লিংক আপনাকে পাঠালো, আপনি ফেসবুক ভেবে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে গেলেন, হ্যাকার আপনার আইডি/পাসওয়ার্ড জেনে গেল। এক্ষেত্রে আপনার পাসওয়ার্ড চুরি ঠেকাতে ফেসবুক বা মূল সাইটের কিছুই করার নেই। তবে, তারা টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবস্থা যুক্ত করে আপনাকে বাঁচাতে পারে যাতে হ্যাকার পাসওয়ার্ড জেনে গেলেও আপনার সমস্যা না হয়। কিন্তু, আপনি যদি ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন এনাবল না করেন, তাহলে হ্যাকার ঐ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার আইডিতে ঢুকে যাবে। ফলে, ফিশিং সাইটের বিষয়ে সচেতন হওয়া বেটার অপশন।
কিভাবে বাঁচবেন?
১) ফিশিং সাইটগুলোর বিষয়ে সচেতন হয়ে।
কখনো কোন সাইট (সেটা ফেসবুক, ইমেইল বা যে সাইটই হোক না কেন) থেকে হুট করে লগআউট হয়ে গেলে ওখানে সরাসরি পাসওয়ার্ড দিবেন না। বা কোন লিংকে ক্লিক করে যদি দেখেন ফেসবুক বা ইমেইলের লগইন/পাসওয়ার্ড চাচ্ছে, ভালো করে খেয়াল করে নিবেন যে আপনি আসলেই ঐ সাইটে আছেন নাকি অন্য কোন সাইটে। কষ্ট করে এড্রেসবারে আবার নতুন করে সাইটের এড্রেস লিখে এন্টার চাপুন। যেমন ফেসবুকের কোন লিঙ্কে ক্লিক করে যদি দেখেন পাসওয়ার্ড চাচ্ছে তাহলে কষ্ট করে ব্রাউজারের এড্রেসবারে গিয়ে https://facebook.com লিখে এন্টার চেপে ফেরত আসুন।
২) পাসওয়ার্ডে দেয়ার ক্ষেত্রে স্মার্ট হয়ে।
ফেসবুক আর ইমেইলে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না। অনেকে একটা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সকল সাইটের জন্য, এটা ঠিক না। এই অভ্যাস বদলে ফেলুন। মনে রাখার সুবির্ধার্থে হয়তো একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে চান, সেক্ষেত্রে প্রতিটা সাইটের জন্য আলাদা কিছু যোগ করে দিন। যেমন ধরুন আপনার কমন পাসওয়ার্ড হচ্ছে abcd. এখন ফেসবুকের ক্ষেত্রে হয়তো দিলেন abcd#fbfb12, ইমেইলে দিলেন abcd#mail21m. শেষে কেমন ধরনের কী যোগ করবেন, সেটার একটা কমন প্যাটার্ন বানিয়ে নিন। মাঝে হ্যাস না দিয়ে অন্যকিছু দিয়ে আরেকটু জটিল করে নিন যাতে কেউ গেস করতে না পারে।
৩) পাসওয়ার্ড বদলে দেয়ার অভ্যাস তৈরি করে।
সতর্ক থাকার পরেও ভুল হয়ে যেতে পারে। কখনো যদি মনে হয় ভুলে কোন ফিশিং সাইটে পাসওয়ার্ড দিয়ে ফেলেছেন, সাথে সাথে ঐ পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন।
1 Answer
2021-07-03 14:07:15 ফিশিং করা হয় মূলত একই রকমের একটা নকল সাইট করে। যেমন, দেখতে হুবহু ফেসবুকের মত একটা সাইট তৈরি করলো একজন। পুরো ফেসবুক বানাতে হয় না এক্ষেত্রে, শুধু লগইন করার স্ক্রিনটা বানালেই হয়। ফলে, যেকেউ এটা করতে পারে। তারপর সেই ফেইক ফেসবুক লগইন পেজের লিংক আপনাকে পাঠালো, আপনি ফেসবুক ভেবে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে গেলেন, হ্যাকার আপনার আইডি/পাসওয়ার্ড জেনে গেল। এক্ষেত্রে আপনার পাসওয়ার্ড চুরি ঠেকাতে ফেসবুক বা মূল সাইটের কিছুই করার নেই। তবে, তারা টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবস্থা যুক্ত করে আপনাকে বাঁচাতে পারে যাতে হ্যাকার পাসওয়ার্ড জেনে গেলেও আপনার সমস্যা না হয়। কিন্তু, আপনি যদি ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন এনাবল না করেন, তাহলে হ্যাকার ঐ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার আইডিতে ঢুকে যাবে। ফলে, ফিশিং সাইটের বিষয়ে সচেতন হওয়া বেটার অপশন।
কিভাবে বাঁচবেন?
১) ফিশিং সাইটগুলোর বিষয়ে সচেতন হয়ে।
কখনো কোন সাইট (সেটা ফেসবুক, ইমেইল বা যে সাইটই হোক না কেন) থেকে হুট করে লগআউট হয়ে গেলে ওখানে সরাসরি পাসওয়ার্ড দিবেন না। বা কোন লিংকে ক্লিক করে যদি দেখেন ফেসবুক বা ইমেইলের লগইন/পাসওয়ার্ড চাচ্ছে, ভালো করে খেয়াল করে নিবেন যে আপনি আসলেই ঐ সাইটে আছেন নাকি অন্য কোন সাইটে। কষ্ট করে এড্রেসবারে আবার নতুন করে সাইটের এড্রেস লিখে এন্টার চাপুন। যেমন ফেসবুকের কোন লিঙ্কে ক্লিক করে যদি দেখেন পাসওয়ার্ড চাচ্ছে তাহলে কষ্ট করে ব্রাউজারের এড্রেসবারে গিয়ে https://facebook.com লিখে এন্টার চেপে ফেরত আসুন।
২) পাসওয়ার্ডে দেয়ার ক্ষেত্রে স্মার্ট হয়ে।
ফেসবুক আর ইমেইলে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না। অনেকে একটা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সকল সাইটের জন্য, এটা ঠিক না। এই অভ্যাস বদলে ফেলুন। মনে রাখার সুবির্ধার্থে হয়তো একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে চান, সেক্ষেত্রে প্রতিটা সাইটের জন্য আলাদা কিছু যোগ করে দিন। যেমন ধরুন আপনার কমন পাসওয়ার্ড হচ্ছে abcd. এখন ফেসবুকের ক্ষেত্রে হয়তো দিলেন abcd#fbfb12, ইমেইলে দিলেন abcd#mail21m. শেষে কেমন ধরনের কী যোগ করবেন, সেটার একটা কমন প্যাটার্ন বানিয়ে নিন। মাঝে হ্যাস না দিয়ে অন্যকিছু দিয়ে আরেকটু জটিল করে নিন যাতে কেউ গেস করতে না পারে।
৩) পাসওয়ার্ড বদলে দেয়ার অভ্যাস তৈরি করে।
সতর্ক থাকার পরেও ভুল হয়ে যেতে পারে। কখনো যদি মনে হয় ভুলে কোন ফিশিং সাইটে পাসওয়ার্ড দিয়ে ফেলেছেন, সাথে সাথে ঐ পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন।
Please login to answer.